পোস্টগুলি

এপ্রিল, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ধারাবাহিক উপন্যাস বেলাভূমি তৃতীয় পর্ব

ছবি
  তৃতীয় পর্ব                                বেলাভূমি                                  জিৎ পাত্র          জিৎ পাত্র           সকাল ৯টায় ঘুম থেকে উঠে তাড়াতাড়ি ব্রেকফাস্ট সেরে নিল সবাই । বাইরে তখন অপেক্ষা করছে স্মিতা, অনিকেত, সৌরভ । ড্রাইভার রতনকে নিল স্মিতা ,মেশেমোশাই বারবার বলেদিয়েছেন স্মিতা যেন ড্রাইভিং না করে দেখো তোমরা । বোলপুরের আবহাওয়া আজ খুব ভালো মেঘলা নেই হালকা রোদ উঠেছে ।গাড়ি কিছু দূর যেতেই সামনের মোড়ে গলির সামনে দাঁড়িয়ে গেল । ঘড়িতে তখন পৌনে দশটা চিন্তায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো সুবর্ণের । দেবলীনা কি আর আসবে না ? নাকি কালকের ঘটনার জন্য আসতে দ্বিধাবোধ করছে ? হঠাৎ গাড়ির জানালার ফাঁকা দিয়ে সামনের গলির দিকে লক্ষ্য গেল সুবর্ণের দেখলো লাল রঙের শাড়ি পরে দূত আসছে দেবলীনা। রোগা পাতলা চেহারা শ্যামল বর্ণ গায়ের রঙ কপালে লাল টিপ ,সামনে আসতেই হালকা হাসলো দেবলীনা । " কিরে এত লেট বললো স্মিতা " " আজ টিউশুনি অফ করেদিয়েছিলাম যেই রেডি হয়ে বেরুবো অমনি বাবার শরীরটা খারাপ হলো তাই একটু লেট বললো দেবলীনা " "আচ্ছা উঠে আয় বললো স্মিতা" গাড়ি চ

ধারাবাহিক উপন্যাস দ্বিতীয় পর্ব

ছবি
বেলাভূমি                   জিৎ পাত্র  জিৎ পাত্র দ্বিতীয় পর্ব  প্রতিদিন হাওড়া স্টেশনের  12 নম্বর প্ল্যাটফর্ম   থেকে 10.10  মিনিটে ছাড়ে শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস।বোলপুর পৌছোয় 12.30 এ । আষাঢ় মাস চারদিকে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি । কিন্তু এ বড় মজার বৃষ্টি হচ্ছে গতকাল থেকে। এখন আকাশ মেঘে ঢেকে গেছে, বাইরে দমকা বাতাস বইতে শুরু করল । ঝমঝম বৃষ্টি শুরু হল। প্ল্যাটফর্মের  উপরে মানুষের কোলাহল ,কেউ কেউ বেহিসেবি হয়ে ছাতা-রেনকোট না নিয়ে বৃষ্টির ফোঁটায় নিজেকে সঁপে দিয়েছে । আমাকে বাইরে বেরোতে হচ্ছে না । আমি ট্রেনের কামরায় জানালার পাশে বসে আছি । জানালার কাঁচ দিয়ে প্রকৃতির সুন্দর দৃশ্য গুলি অনুধাবন করছি। চারদিকে বৃষ্টির রোমাঞ্চকর পরিবেশ আমরা তখন বর্ধমান জংশনে । মাইকে ঘোষণা শেষ এবার হুইসেল বাজল। আমি শুনতে পাচ্ছি শান্তিনিকেতনের সুশৃঙ্খল আনন্দ গান সকলে একত্রিত ভাবে আমাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে সবাই গাইছে "ওরে গৃহবাসী খোল দ্বার খোল ,লাগল যে দোল " । এখন তো বসন্তকাল নয় , এখন আষাঢ় মাস ঝিরিঝিরি বৃষ্টি তার মাঝেই ভেসে আসছে আন্তরিক অমলিন আনন্দময় ঋতু উৎসবের সূচনা।চোখের সামনে ভেসে উঠছে অপষ্ট এক পরমাস

কলমে কলমে তিন দশক - নবম সংখ্যা

ছবি
প্রচ্ছদ শিল্পী- সায়ন্ত বণিক সম্পাদকীয় : -                   " কলমে কলমে তিন দশক"  সময়ের উপর দিয়ে হাতুড়ি পেটাতে পেটাতে থমকে গেছে চাকা।প্রকৃতি আবার নিজের রূপে ফিরছে ।বাতাসে নেশা, গাছপালা সবুজ, পাখিদের ডাক। মানুষ ঘরবন্দি।কিন্তু লক্ষ্য করুন এই কিছুদিনে কীভাবে প্রকৃতি সেজে উঠছে।সেই সঙ্গে ঝড়, শিলাবৃষ্টি, ভূমিকম্প ও হচ্ছে। তাহলে! এতদিন যত অত্যাচার করেছেন প্রকৃতি কি তার বদলা নিচ্ছে! হয়তো তাই হয়তোবা না। Web ডুয়ার্স তার এই নবম সংখ্যা সাজাতে চলেছে " ৯/০/১ম " এই তিনদশকের কবিদের লেখা নিয়ে।আর শুধুমাত্র  এই তিনদশক নয় আটের দশকের কবির লেখাও এই সংখ্যায় রয়েছে। অভিজ্ঞ কবিদের সাথে সাথে রয়েছে প্রথম দশকের একদম নতুন কলমচিরাও। সবাই একসঙ্গে এক পাতায় লিখেছেন আপনাদের জন্য ।   আমরা এখন সময়ের দিকে তাকিয়ে কবে কতদিনে সবকিছু ঠিক হবে। অপেক্ষায়। আবার সেই গতে ধরা মঞ্চ জীবনযাপন ।সবকিছুই আবার শুরু হবে। চলুন না অঙ্গীকার করি এই সময়টা ঘরে থাকবো, নিজের জন্য পরিবারের জন্য দেশের জন্য। চলুন অঙ্গীকার করি , পরিপূর্ণ ভালো মানুষ হয়ে উঠবো।প্রকৃতির উপর অনাচার করবো না।অপেক্ষা
ছবি
              Web ডুয়ার্স- এর নিবেদন।            ধারাবাহিক উপন্যাস                            বেলাভূমি        লেখক -  জিৎ পাত্র  (প্রথম )  জিৎ পাত্র বাঁকুড়া জেলা ও পুরুলিয়া জেলার মধ্যবর্তী সীমান্তের ,প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা পাহাড়ের কোলে আদিবাসী গ্রাম মুকুন্দপুর। বিস্তীর্ন  এলাকা শাল, মহুমার জঙ্গলে ঘেরা । রাঙ্গামাটির পথ সারি সারি পলাশ ,কৃষ্ণচূড়া। মাটির বাড়ি দেয়ালে রংবেরঙের আলপনা আঁকা । পাশ দিয়ে বয়ে গেছে অপরূপা কুমারী নদী । চারদিকে ভালোবাসার আবেশ,মারাং বুরুর আশীর্বাদে ফুলে ফেঁপে উঠছে চাষির সোনার ফসল। এই গ্রামেই থাকেন ডাক্তার সুবর্ণ রায়।আদি নিবাস কলকাতা এম,বি,বি,এস পাশ করার পর  সরকারী চাকুরী নিয়ে আসেন মুকুন্দপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে । দেখছেন এলাকার মানুষের অভাব ,অনটন ও জীবন সংগ্রামের কথা । দেখেছেন বিনা চিকিৎসায় অসহায় মানুষের মৃত্যু । এই মানুষগুলোর ভালোবাসার টানে রয়ে গেলেন অবসর জীবনের পরেও । বাবা, মারা যাবার পর পৈত্রিক সম্পত্তি দান করে দিয়েছেন একটি চ্যারিটেবল ট্রাস্টকে । প্রথম চাকুরী জীবনে পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো হসপিটালের সরকারি কোয়ার্টারে মাকে নিয়ে ছিলেন .
Web ডুয়ার্স-  অষ্টম সংখ্যা এবার ব্লগে কেবল মাত্র আপনাদের জন্যই। এই সময় আমরা এক দুঃসহ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি।এখন আমাদের ঘরবন্দি হয়ে থাকতে হবে।।কারণ বাইরে বেরোলেই শুধু আমরা না আরও কোটি কোটি মানুষের প্রাণের সংশয় হয়ে দাঁড়াবে। এখন সোশ্যাল ডিস্টেন্স আমাদের মেইনটেইন করে চলতে হবে। জানি ক্ষুধার্ত মানুষের কান্না দেখে আমাদের ও মন আর ঘরে থাকতে চাইছে না।তাই সাধ্যমত সাহায্য করে তাদের পাশে থাকি এবং দেশের জনগণের কথা ভেবে নিজেকে কোয়ারান্টিনে রাখি। এই সংখ্যা পড়ুন। পড়ান শেয়ার করে মতামত দিতে দিয়ে।           সম্পাদক - অনিমেষ সরকার স্ফটিক শ্রুতি ব্যানার্জি শনিবারের বাজার ভীড় হয়ে এসেছে; যে যার মতো চলে গেছে, মক্কার নিকটে মন্দির ,মন্দিরের সদর দরজায় বাজার বসেছে। মাইক বাজলে আজান  চোখ, ঘন্টা বাজলে বিশ্বাস , ভুলে যাই সব , আমাদের আজাদী আছে নিজের নিজের যে যার মতো বেঁকে যাই কাচা পথ দিয়ে।জলের   নুপুর  বিকাশ চন্দ  বরফের চাদরে চিড় ধরেছে রিক্ত ফাটল--- রোদ রঙ খেলেছে অন্তরে বাইরে তন্ময় অনাত্মীয় শরীর অপেক্ষায়  নিরন্তর জল রক্ত মিলেমিশে আলো উপত্যকা অজস্র ফুলের মেলায় পরাগে ঋতু রাগ দুট