পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Webডুয়ার্স ১৩- সম্পাদকীয় - সেগমেন্ট 1

ছবি
নতুন আঙ্গিকে ওয়েব ডুয়ার্স।  বাংলা ভাষা অবক্ষয়ের চক্রান্ত চলছে দেশ জুড়ে।নতুন শিক্ষানীতিও চেষ্টা করেছে বাংলা ভাষাকে পিছিয়ে দিতে আরও। যদিও আমরা নিজেরাই উত্তরবঙ্গ দক্ষিণবঙ্গ যখন রেষারেষি অথবা পার্থক্য বিচারে বসি তখন আঞ্চলিক ভাষাগুলো দেখে শুনে হাসি। অথচ গর্ব করা বাংলা ভাষা কেবল দক্ষিণবঙ্গ কেন্দ্রীক সো কলড এলিট ক্লাসের পা চাটা কিছু বেড়ালের কাছে আঞ্চলিক ভাষা হাস্যকর। অথচ উত্তরবঙ্গে ভাষার বৈচিত্র্য রয়েছে। Web ডুয়ার্স ১৩ গুচ্ছ কবিতা বিভাগের সেগমেন্ট 1- এ রয়েছেন প্রবীর রায় , সুবীর সরকার, সৌমিত বসু ,তুষারকান্তি রায়, প্রমিশ প্রতিম পাঞ্জা, পঙ্কজ ঘোষ,সন্দীপন দত্ত, শমীক জয় সেনগুপ্ত  প্রমুখ কবিদের লেখা।। সেগমেন্ট 2 পরবর্তী সপ্তাহে একঝাঁক তরুণ কলমের সাথে।।আপাতত পড়ে নিন। পড়ান আর বাংলা কবিতার ধরণ দেখুন। সম্পাদক অনিমেষ সরকার  লেখক সূচী  :  ১. মলয় রায়চৌধুরী  https://webdooarss.blogspot.com/2020/09/web_22.html ২. প্রবীর রায়  https://webdooarss.blogspot.com/2020/09/web_22.html ৩.সৌমিত বসু https://webdooarss.blogspot.com/2020/09/web_42.html?m=1 ৪.তুষারকান্তি রায় https:

Web ডুয়ার্স ১৩ - শমীক জয় সেনগুপ্ত - ১৫টি কবিতা

ছবি
জন্মদিন: ৯ই অক্টোবর ১৯৮৬ (বাংলা ২২শে আশ্বিন ১৩৯৩)। বাবা : শ্রীযুক্ত অভিজিৎ সেনগুপ্ত। মা : স্বর্গীয়া কেতকী সেনগুপ্ত। শিক্ষা: ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর। লেখালিখি শুরু ১৯৯৪ সাল থেকে কচিকাঁচা সবুজ সাথী পত্রিকার শিশু বিভাগে। ৯০এর দশকের কনিষ্ঠতম কবিদের মধ্যে একজন হলেও নিজেকে লিটিল ম্যাগাজিন কর্মী বলতেই বেশী স্বাচ্ছন্দ্ বোধ করেন। বারো বছরের মত সময়কাল ধরে শমীক জয় সেনগুপ্তর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়ে আসছে সপ্তপর্ণ পত্রিকা। সপ্তপর্ণ পত্রিকা ও অভিজয় প্রকাশনীর প্রাণপুরুষ শমীককে বাংলা সাহিত্যে আরো একটি বিশেষ কারণে মনে রাখার কারণ হচ্ছে সারা বাংলা জুড়ে জেলা ভিত্তিক ভাবে লিটিল ম্যাগাজিন সম্মান ও সাহিত্যের বিশেষ কিছু শাখার জন্য অভিজয় সাহিত্য সম্মানের জন্য। লিটিল ম্যাগাজিন এর সাথে সাথেই কলকাতা ক্যুইয়ার মুভমেন্ট ও অ্যান্টি ৩৭৭ আন্দোলনে শমীক জয় সেনগুপ্ত অতি পরিচিত ও জনপ্রিয় মুখ। বই: নদীর কাছে ওরা ক'জন (২০১৬) পকেট ফুল অফ জয় (২০১৭) পুরাবর্ত্ম (২০১৭) পুরস্কার ও সম্মান: কচিকাঁচা সবুজ সাথী শিশু সাহিত্য সম্মান(১৯৯৬), সরলাবালা বিশ্বাস স্মৃতি সম্মান (১৯৯৯) ও চুণী কোটাল সম্মান (২০১৭)

Web ডুয়ার্স ১৩ - সৌমিত বসু -গুচ্ছ কবিতা

ছবি
মায়া বৌ - ১১  একটা মানুষ আর একটা মানুষকে ডাকতে গিয়ে দেখে দুজনের মাঝখান দিয়ে চলে যাচ্ছে এক তীব্র মালগাড়ী এক একটি বগির ফাঁক দিয়ে সে দেখার চেষ্টা করে কিন্তু ঝাপসা ছাড়া কিছুই দেখতে পায় না তখন সে ফিরেও যেতে পারে না আবার পাতের ওপর ঝাঁপিয়েও পড়তে পারে না সে নিশ্চিত ট্রেন চলে গেলে তার জন্য পড়ে থাকবে শুধু হুইসেল তখন সে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই আত্মহত্যা করে । মায়া বৌ - ১২ জলের নীচে ঘুমিয়ে আছো তুমি প্রহর জোড়া ছন্দে বাজো ত্রিতাল সোনার শরীর মাছের মতো কারো সময় এসে আচমকা জাগালো । ঢেউয়ের ফাঁকে যত গোপন কথা বুকের মাঝে মৃত্যুকালীন আলো পথের ওপর দিলো উপুড় করে জানলোনা কেউ কারা যে চমকালো ।  বুকের ভেতর ঘুমিয়ে আছো তুমি রাত্রি তোমার ছোট মেয়ের নাম । মায়া বৌ - ১৯ ধুলোর ভেতর থাকি । সারাগায়ে পরাজয় । যদিও তোমার কথা এখন অতীত  , তবু বাজে ঘাসের ওপর রাখা কুয়াশার মতো টলটল জীবনের ও প্রান্ত ধরে টান দেয় ডানাহীন পাখি আর পালক ছাড়ানো রাত্রি ভোর হলে উড়ে এসে বসে । Bottle Art by Saptaparni Mandal Majumdar  মায়া বৌ - ২০ সবুজ সবুজ একটানা ফিতেহীন বাতাস ধরে আছি দুজন দুপ্রান্তে ।

Web ডুয়ার্স ১৩ - প্রমিশ প্রতিম পাঞ্জা - গুচ্ছকবিতা

ছবি
আশা আমার আশা দশদিগন্ত শব্দ পাতায় বিকোয় স্বপ্ন অনুভবের মেঘলা খাতায়। ঘোমটা রাতে গ্রহণ লাগে রেশন চালে। আমার আশা দূর-পাহাড়ের স্লেজের গাড়ি ন্যাংটো যুবক নীলে-সাদায় দিচ্ছে পাড়ি। আমিষ গন্ধে উড়ছে শকুন হাসপাতালে। আমার আশা বস্তিপাড়ার মরণ জ্বালা শুকিয়ে গেছে ঋণের বোঝায় লুব্ধ লালা। অর্ধমৃত চাঁদের আলো পূর্বরাগে। আশা আমার মৌলবাদীর আগুন ঘরে লাগামছাড়া ধর্ম খেলায় মানুষ মরে। লোহিতশুন্য কোলের শিশু রাত্রি জাগে।               গড়জীবন বৃষ্টিভাঙার শব্দগুলো কুড়িয়ে রাখি অপ্রকাশিত কবিতার অন্তমিলে। তারপর গুছিয়ে রাখি জীবন বিমার সাম এসিওড়। অসম্পূর্ণ কাব্যকথার পাশে রাখি বয়স্ক নিভ পেন। ভয়কে হারিয়ে ফিরছে অবশিষ্ট বাক। পুত্রবধূ দ্রুত মিলিয়েনিচ্ছেন পাশবইর ডেবিট ও ক্রেডিট। নাতি নাতনিরা ঝাঁকিয়ে দিচ্ছে বিন্যস্ত বাহু। পরিষ্কার শুনতে পাচ্ছি গ্লাসে গ্লুকোজ জলের প্রস্তুতি। ঘী আর তুলো দিয়ে বাঁধা হচ্ছে আত্মকথা, ঘুমের ভেতরে ঘুমিয়ে যাচ্ছে পঞ্চশক্তি। কাঁধের উপরে পাহারা দিচ্ছে কাঁধ। যেকোনো সময় কিশোর- তরুণের আগুনগল্পে, থেমেযেতে পারে টাইমকল। নির্ভুল   পাতা ছেড়ে দিয়ে গাছেরা যখন কাঁদে,

Web ডুয়ার্স ১৩ - সন্দীপন দত্ত - গুচ্ছকবিতা

ছবি
খেলা খেলব না খেলব না করে খেলতে নামছি দুচার রানে নট আউট অথচ মাঠ আমার নিজস্ব হয়ে গেল আকাশ আত্মদম্ভ খেলাই সব নয় হারজিত তো আরও অলীক খেলব না খেলব না করে খেলতে নামা এটুকুই সোহাগ সন্ধ্যা যুবতী হলে চাঁদ হাসে বাঁকা কেউ কেউ বক্রোক্তিতে নেমে যায় অদ্ভুত আলো এক আকাশের গায়ে পরকীয়া বোঝাচ্ছে পদাবলীর ছাত্র বোটানির বান্ধবীকে হাসতে হাসতে আলুয়াবাড়ি রোড থেকে শিলিগুড়ির দিকে একটি মধ্যযুগের যান উড়ে গেল সন্ধ্যার যুবতী বুকে লালচে আভা নাকে সিঁদুর পড়লে মেয়েরা স্বামীসোহাগী হয় ভিরান বিদুরের জন্য কষ্ট হল কাল ভোরে আপনার অনার্য খোলা পিঠ মনে পড়েছিল এখন যাঁরা যত তত্ত্বজ্ঞানী তাঁরা তত একা ও শামুক মহাভারতের মতো শরীর বিদুরের জন্য অল্প কুন্তী অনেকটা অস্বীকার জ্ঞানের তবু নিজস্ব অহং আছে Art by Moumita Das অপবাদ বিস্কুট চায়ে ডোবালে নরম একটা মেয়ে বেড়াল হয়ে যায় নতুন পুরুষে যত আবেগ ততই বিষ বিষে মিশে ক্ষয় চুমুকের প্রতিদানে তেতো ঘোড়ানিম গাছের নীচে ছেলেদের আড্ডা আড্ডায় সর্বদা মেয়েদের দোষ দেওয়া হয় বিস্কুট ভেঙে যায় নেহাত বাতাসে সুপ্তি চুরি

Web ডুয়ার্স ১৩ - তুষারকান্তি রায় - গুচ্ছকবিতা

ছবি
প্রখর সকাল থেকেই লু বইছে গোবিন্দপুরে চারিদিকে ধু – ধু মাঠ কোথাও কোনও জনপ্রানী নেই সর্দারপাড়ার জোড়াপুকুরের জল শুষে নিচ্ছে রোদ প্রখর বাতাসে মিশে যাচ্ছে ঘুঘুর ডাক আগুনের হলকার মধ্য দিয়ে ছাতা মাথায় হেঁটে আসছে কাজলদি শহরে যাবার বাস ধরতে কাঁচা রাস্তা ধরে আরও মাইলখানেক যেতে হবে তাকে হাত ঘুরিয়ে সময় দেখে নিয়ে ভাবে – দেরি হয়ে গেলো তেঁতুল গাছের তলায় জমাট ছায়ায় খানিক জিরিয়ে নিচ্ছে রৌদ্রের ক্লান্ত পথিক ঠিক যেভাবে চৌরাস্তার মোড়ে একটা বাগানওয়ালা বাড়িতে কাজলদির বিয়ের কথা ঠায় দাঁড়িয়ে আছে , অলসভাবে   জল নূপুর  জলপ্রিয়া তুই মল্লার নাচে দক্ষ লিখে পাঠালাম ছোট ছোট দানা বৃষ্টি ভিজে যায় যদি কাগজের আঁকা বিদ্যুৎ তবুও নিখুঁত অকালবেলার অক্ষর কবিতার সুরে ভেজা কথা অনুষঙ্গ জলের শব্দ এখনো লিখছে গল্প দিগন্ত চিরে ছিটকে পড়ছে বজ্র শব্দের জল ছুঁয়ে যাক নদী সংগম চোখের তারার সংকেতে জ্বলে তিস্তা প্রতিদিন লিখি শিরোনামহীন ছন্দ নদীয়ালি চরে পুরাতন প্রেম বন্দিশ জল নূপুরের টুং টাং সুর বিস্তার   সুর   শূন্যে  ঝুলিয়ে রাখা  আশাবরির কোমল আমার হেমন্তের মাঠ

Web ডুয়ার্স ১৩ - প্রবীর রায় - গুচ্ছকবিতা

ছবি
দেশী কথা জন্ম কাপড় ঘেরা মাটির দাওয়ায় মা'র গল্পে প্রায়ই আসতো ধাইমা কঠিন শরীর সাদা চুল চিনেছিলাম অনেক পর যখন প্রায়শয়ই পড়ে যেতাম কান্নার অভ্যাস কাটিয়ে ওঠার পরেও পল্লীর অন্য প্রান্ত থেকে এগিয়ে আসা পথটিকে নিয়ে সে আসতো যার কোনও প্রমাণপত্র রাখেনি কেউ হতাশাজনক রোদকে ফিনফিনে কাগজ বলাতেই সবকিছু শেষ হয়না যদিও চূড়ান্ত দেখতে পাই তারপর সেটাতেও আগুন ধরে যায় অন্ধকারের মত আড়াল এগিয়ে আসে লকডাউন পরবর্তী বাক্য দিয়ে লিখবো নিশ্চয়ই নতুন বাক্য দিয়ে শব্দ দিয়ে লিখবো নিশ্চয়ই নতুন শব্দ দিয়ে বর্ণ দিয়ে লিখবো নিশ্চয়ই নতুন বর্ণ দিয়ে বন্দীজীবনের ধ্বনি পাখীদের ডাক ঝড়ের মধ্যে ভেঙে পড়ার শব্দ মনে থাকবে কালবিধি মানুষকে মানুষ থেকে বাদ দিলে যে দূরত্ব তার অসীম সংসার নির্জনতায় ছড়িয়ে পড়ে কিন্তু তার ঘনীভূত কুহেলিকা প্রবীন মানুষটিকে চেয়ারে বসিয়ে রাখে স্মৃতির কোলাহলে এই সরলতা

Web ডুয়ার্স ১৩ - সুবীর সরকার - গুচ্ছকবিতা

ছবি
দৃশ্য /১ ফ্ল্যাটের বারান্দা বুঝি জাহাজের ডেক ভুলে যাওয়া অলিগলি দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি মোমবাতি আসলে হেলানো মিনার জলে ভাসে আপাতঅর্থে উপনিবেশের                                              হাঁস সেলফি   বনিকবাড়ির ব্যালকনিতে সেলফি তুলি। শিকারের আগে  জ্বলে ওঠে গজার                                            মাছের চোখ এখন সরু চালের ভাত। নদীজলে অপেক্ষা ভেসে                                                  যায়। শান্ত থাকি আর করিডোরে কুপির                                                 আলো। দেশ হাতির শুঁড়ের মত আমাদের জড়িয়ে ধরেছে                                           আমার দেশ চারদিকে কালো পাখি।সাদা ডানায় মিশে থাকা                                                        রক্ত। ভয় তাড়া করে। আর্তনাদ অনুবাদ করতে বসি                                      ভরসন্ধেবেলায় দেশ মানে কি তবে হিমঘর! সাজঘরে ঢুকে পড়া ক্ষিপ্র                                     কুঠার গান হলুদ রঙের বেড়াল ডাকছে বেড়াল তাড়া করছে খয়েরী পাখিটিকে ডুবে গিয়েও ভেসে ওঠে দৃশ্যগু

Web ডুয়ার্স ১৩ - পঙ্কজ ঘোষ - গুচ্ছকবিতা

ছবি
যেভাবে কাটছে দিন                                     (১) কথা বলতে গেলেই সমস্ত শব্দের ভেতর শর ঢুকে যায় ঠকে ও ঠকিয়ে           কেটে যাচ্ছে একেকটি দিন অন্ধকারে অন্ধ এই জীবন    কাল চশমার ভেতর ঘুমিয়ে থাকে রোজ আর গোধূলিতে কী ভীষণ স্বস্তিমুখে    আমরা শিরদাঁড়া বেচে ঘরে ফিরে আসি।।।                 (২)       এখন তোতা পাখি হয়ে উঠছি রোজ কিছুতেই যা বলতে চাই    বলা হয়ে ওঠেনা আর দ্যাখো, কীভাবে স্বপ্নের ভেতর চুরি যাচ্ছে আমাদের কত কত স্বপ্নের ঘুম মানুষ খুঁজতে খুঁজতে    কীভাবে গাছের ছায়া খোওয়া যায়।।।               (৩)  শূন্য লিখতে লিখতে           অরণ্যে ঢুকে যাই পাতা পুড়তে পুড়তে          বসন্ত নেমে আসে সমস্ত কোকিল মৃত   তবু শব্দ শোনা যায় হাজার হাজার গান কী বাজল তবে     মরা দেশে পুনশ্চ আবার!                 (৪) রূপকথার শহর লিখতে চাইলেই   মৃত মানুষের স্বর ভেসে আসে এইসব বিষাদ ও বিভ্রান্তিগুলি লিখে রাখি আমি দিনরাত রাতদিন দেওয়ালে দেওয়ালে শুধু রঙিন ইস্তেহার অথচ কোনো নদীর কথা নেই চকচকে চোখের ভেতর আমরা সবাই একেকটি দ্বীপ হয়ে আছি।

Web ডুয়ার্স ১৩ -মলয় রায়চৌধুরী - গুচ্ছকবিতা

ছবি
অশোকের শিলালিপি উৎসর্গ : হিউয়েন সাঙ  চারিদিকে হিজিবিজি স্পষ্টবাক বোবাদের গেঁড়িচোখ ভিড়ে কে যে পরশ্রমজীবি নয়, সত্যি বলতে, টের পাওয়া যেত যদি ঝড়েদের লেজ ধরে বৃষ্টিতে ঝুলে তারা পিঁড়ি-ছেড়ে ওঠা বরেদের পাঁয়তাড়া ফ্রাই-করা প্রজন্মের বৈদ্যুতিক পুং নেমন্তন্ন পাওয়া মাত্র পত্রপাঠ ছিঁড়ে ফেলার আনন্দে ভোগে-- তা ভুগুক, ক্ষেতি নেই । ডানার খাপে-খাপে যে-মস্তি লুকিয়ে রয়েছে নিজেরই গলার স্বরে প্রতিধ্বনি সেজে তা তো বেমালুম হাওয়া তাদের আঙুল নোংরা বরফের কোমল মোবিলে তাহলে কাদের থাকে নখদর্পণের মতো মাথামোটা চিজ বলো দিকি ! হ্যাঁ ঠিক, টিভি না থাকলে শ্যালে টেনে নিয়ে যেতো জোব চার্নকের দিশি অ্যাণ্ডাবাচ্চা উৎসর্গ : সঞ্জীব নিয়োগী বেচারি ব্যথিতচিত্ত কুকুরির ফেকলুছাপ প্রতিস্বপ্নে যাঁরা স্যাঁতসেঁতে বাগ্মীতাগড়া বাস্তবে হিসেবি আদর্শবাদ পুযে অণ্ডকোষ ভরে ভরে আওয়াজের গুণিতকে তোলাবাজ আনলেন রাংতায় বানানো সেসব সাকিন-পরিচয়হীন মনোপজীবীই তো তারিয়ে তারিয়ে ভোগ করেন শান্তিমিছিলের ঢিল-ছোঁড়া দূরত্ব আমি হ্যান আমি ত্যান আমি অমুক আমি তমুক আমি কেউ আমি কেটা ভেবে ভেবে মশা-মাছিরাই কিনা মানব সভ্যতা পালটে দিলে কেননা হা

১২তম সংখ্যা প্রথম বর্ষ :বিষাক্ত AD : নারী বন্দনা

ছবি
চিত্রশিল্পী - শ্রীহরি দত্ত  সম্পাদকীয়  :-  তিনমাস! তিনমাসে কী কী হতে পারে ? তিন  ঘন্টা তিন সেকেন্ড তিনদিনে? এতকিছু উত্তর পাবার জন্য প্রশ্ন করিনি শুধু একটা হিসেব রাখলাম।আমরা কখন ফিরেছি। ওয়েব ডুয়ার্স একটা বিষাক্ত সময় কাটিয়ে ফিরতে চলেছে আবার। তিনমাস অজ্ঞাতবাসে থেকে আবার তার কাজ নিয়ে।যতদিন না আপনি ঠিকঠাক একটা কাজ করতে পারছেন ততদিন পর্যন্ত আসা যাওয়ার হিসেব কেউ রাখবে না।যখনই একখানা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে ফেললেন সমস্ত লাইমলাইট লিমকা সোডা মদ গ্লাস দাদা দিদি আর মাটি খুঁড়ে সিসিটিভি ক্যামেরা উঠে আসবে কভার করতে। এতসব কিছুর জন্য কি এতকিছু! ম্যানুপুলেট করুন ,ক্যালকুলেট করুন আর বিষাক্ত সময়ের বিষাক্ত তরুণের এই প্রয়াস ব্লগটি পড়ুন। আমাদের এই সংখ্যা নারীদের উৎসর্গ করা হয়েছে। যে রাঁধে সে চুল বাঁধে ওসব পুরোনো বচন এখন রাঁন্না চুল বাঁধা সব কিছু সমান সমান। নারী মানেই মা বোন দিদি স্ত্রী বিভিন্ন রূপে বিভিন্ন সময়ে আমাদের সামনে। সামনে মহালয়া দেবীপক্ষের সূচনা হচ্ছে।শারদ সংখ্যা করবো না করছি না। তার আগেই নারীবন্দনা মাতৃবন্দনা করে আমরা ফিরছি আবার। নারী পুরুষ সাহিত্য ক্ষেত্রে আলাদা করতে নেই এটা একদম ভুল