Web ডুয়ার্স ১৩ - সন্দীপন দত্ত - গুচ্ছকবিতা

খেলা


খেলব না খেলব না করে খেলতে নামছি
দুচার রানে নট আউট

অথচ মাঠ আমার নিজস্ব হয়ে গেল
আকাশ আত্মদম্ভ

খেলাই সব নয়
হারজিত তো আরও অলীক

খেলব না খেলব না করে খেলতে নামা
এটুকুই


সোহাগ


সন্ধ্যা যুবতী হলে চাঁদ হাসে বাঁকা
কেউ কেউ বক্রোক্তিতে নেমে যায়

অদ্ভুত আলো এক আকাশের গায়ে
পরকীয়া বোঝাচ্ছে
পদাবলীর ছাত্র
বোটানির বান্ধবীকে

হাসতে হাসতে আলুয়াবাড়ি রোড থেকে
শিলিগুড়ির দিকে একটি মধ্যযুগের যান
উড়ে গেল

সন্ধ্যার যুবতী বুকে লালচে আভা
নাকে সিঁদুর পড়লে মেয়েরা স্বামীসোহাগী হয়


ভিরান


বিদুরের জন্য কষ্ট হল

কাল ভোরে আপনার অনার্য খোলা পিঠ
মনে পড়েছিল

এখন যাঁরা যত তত্ত্বজ্ঞানী
তাঁরা তত একা ও শামুক

মহাভারতের মতো শরীর

বিদুরের জন্য অল্প কুন্তী
অনেকটা অস্বীকার

জ্ঞানের তবু নিজস্ব অহং আছে





Art by Moumita Das






অপবাদ


বিস্কুট চায়ে ডোবালে
নরম একটা মেয়ে বেড়াল হয়ে যায়

নতুন পুরুষে যত আবেগ
ততই বিষ
বিষে মিশে ক্ষয়

চুমুকের প্রতিদানে তেতো
ঘোড়ানিম গাছের নীচে ছেলেদের আড্ডা

আড্ডায় সর্বদা মেয়েদের দোষ দেওয়া হয়

বিস্কুট ভেঙে যায়
নেহাত বাতাসে


সুপ্তি


চুরি করে দেখে ফেলা বায়োস্কোপ
বয়স বাড়ে এক ঝটকায়

জংশনে পাওয়া যায় পুস্তক মায়াবী
পাতায় শিহরণ পাতায় ভয়

ঘেন্না কেটে গেলে সহজ মুখে নেওয়া
সাপের মাংস
ব্যাঙের উরু

নওটঙ্কিতে ছেলেরা মেয়ে সেজে নাচে

চুরি করে বাড়ি ফেরে একটি ময়ূর
খুলে রাখে জখমি পেখম
তারপর কাকেদের সঙ্গে বসে পানাহার


শ্লাঘা


সোহাগ চাঁদ সুহাগ রাত
সেই রাতে রাত ছিল পূর্ণিমা

গাইতে গলা লাগে না

চুল খুলে দিলে যদি সবটা বর্ষাকাল হত
মেঘ খুলে দিলে যদি ভিজে যেতে তুমি

যারা ভাবে মেয়েদের অন্যায় রকম সুখ দিতে
প্রয়োজন মারাত্মক ঢাকের কাঠি

তারা বাদ্যযন্ত্র বিষয়ে কিচ্ছু জানে না


প্রান্তিক


শীতলপাটি বুনতে বুনতে
গরমকাল পেরিয়ে গেল
ইঁদারা নিয়ে এক অনুচ্ছেদ লেখা হল না

বসন্ত বাতাসের মতো নির্মম কী আছে?

প্রত্যেক শহর নিজস্ব খিস্তিতে বাঁচে

পাটির গায়ে জল লাগিয়ে
বাতাসে শুকোতে দেওয়া

গুনগুন করা কোনও রিক্সাসংগীত

শুয়ে আরাম হলে
মানুষ ভুলে যায় ঘুমের কথা

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সংখ্যা ১৮ || বর্ষ ৫

ফেরার অধ্যায়: -২য় বর্ষ সংখ্যা ১৫

বিষয় - বই আলোচনা-সংখ্যা ১৬ বর্ষ ২