১২তম সংখ্যা প্রথম বর্ষ :বিষাক্ত AD : নারী বন্দনা

চিত্রশিল্পী - শ্রীহরি দত্ত 






সম্পাদকীয় :- 

তিনমাস! তিনমাসে কী কী হতে পারে ? তিন  ঘন্টা তিন সেকেন্ড তিনদিনে? এতকিছু উত্তর পাবার জন্য প্রশ্ন করিনি শুধু একটা হিসেব রাখলাম।আমরা কখন ফিরেছি। ওয়েব ডুয়ার্স একটা বিষাক্ত সময় কাটিয়ে ফিরতে চলেছে আবার। তিনমাস অজ্ঞাতবাসে থেকে আবার তার কাজ নিয়ে।যতদিন না আপনি ঠিকঠাক একটা কাজ করতে পারছেন ততদিন পর্যন্ত আসা যাওয়ার হিসেব কেউ রাখবে না।যখনই একখানা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে ফেললেন সমস্ত লাইমলাইট লিমকা সোডা মদ গ্লাস দাদা দিদি আর মাটি খুঁড়ে সিসিটিভি ক্যামেরা উঠে আসবে কভার করতে।

এতসব কিছুর জন্য কি এতকিছু! ম্যানুপুলেট করুন ,ক্যালকুলেট করুন আর বিষাক্ত সময়ের বিষাক্ত তরুণের এই প্রয়াস ব্লগটি পড়ুন। আমাদের এই সংখ্যা নারীদের উৎসর্গ করা হয়েছে। যে রাঁধে সে চুল বাঁধে ওসব পুরোনো বচন এখন রাঁন্না চুল বাঁধা সব কিছু সমান সমান।
নারী মানেই মা বোন দিদি স্ত্রী বিভিন্ন রূপে বিভিন্ন সময়ে আমাদের সামনে। সামনে মহালয়া দেবীপক্ষের সূচনা হচ্ছে।শারদ সংখ্যা করবো না করছি না। তার আগেই নারীবন্দনা মাতৃবন্দনা করে আমরা ফিরছি আবার।
নারী পুরুষ সাহিত্য ক্ষেত্রে আলাদা করতে নেই এটা একদম ভুল কিন্তু আমরা আলাদা করছি ,করতে বাধ্য হচ্ছি নিজেদের জন্য। এইসময়ের কিছু শক্তিশালী কলমচি নারীশক্তির লেখা দিয়ে সাজাচ্ছি এই সংখ্যা।এই সংখ্যায় কলম ধরলেন ১৩ শক্তি সজ্জিত ১৩ জন নারী। তাদের মধ্যে নতুন কিছু কলমচিও সঙ্গে রয়েছেন। সবাইকে ধন্যবাদ এতদিন ধৈর্য্য রাখার জন্য আমাদের সাথে থাকার জন্য।

নারীবন্দনা হচ্ছে আর মা দুর্গা নিয়ে কথা হবে না তাই কখনও হয়!

দেবী পার্বতী বা উমা পরবর্তীতে দুর্গা নামে প্রসিদ্ধ হয়ে ওঠেন। দুর্গার প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় 'তৈত্তরীয় আরণ্যকের  যাজ্ঞিকা উপনিষদে -
 " তামগ্নিবর্ণাং তপসা জ্বলন্তিং
বৈরোচনীং কর্মফলেষু জুষ্টাম
দুর্গাং দেবীং শরণমহং প্রপেদ্যে
সুতরসি তরসে নমঃ "
শব্দল্পদ্রুম গ্রন্থে বলা হয়েছে দুর্গ নামক অসুরকে বধ করার জন্যই দেবীর নাম হয়েছিল দুর্গা। সেইসঙ্গে মহাবিঘ্ন ,ভববন্ধ  ,কুকর্ম ,শোক,দুঃখ  ,নরক  , যমদন্ড ,জন্ম ,মহাভয় , অতিরোগ  , প্রভৃতিকে নাশ করেন যিনি তিনিই দুর্গা
" দুর্গো দৈত্যে মহাবিঘ্নো ভববন্ধে কুকর্মনি ।
শোকে দুঃখে চ নরকে যমদন্ডে চ জন্মনি ।।
মহাভয়েহতিরোগে চাপ্যাশব্দো হন্তৃবাচকঃ।
এতান্ হন্ত্যেব যা দেবী সা দুর্গা পরিকীর্তিতা ।।"



"মার্কেন্ডেয় চন্ডীতে " 'দুর্গা' শব্দের নানা ব্যখ্যা দেওয়া হয়েছে
- কোনো কোনো গবেষক মনে করেন যিনি দুর্গ রক্ষা করেন তার অধিষ্ঠাত্রী দেবীই হলেন দুর্গা।
এই প্রসঙ্গে "দেবী পুরাণের"
 একটি অংশ উল্লেখ করলাম

" তং হি দুর্গে মহাবীর্যে দুর্গে দুর্গপরাক্রমে  ।
সকলে নিষ্ফলশ্চৈব কলাতীত নামাহস্তুতে ।।
যোগাধীপো যোগাগম্য যাগাত্ম্যা যোগসম্ভবঃ ।
রমসে দেবী দুর্গেষু দুর্গেশ্বরী নমোহস্তুতে ।।"

বিশেষ লক্ষ্যনীয় উমা ,পার্বতীর প্রাচীন উল্লেখের মধ্যে অস্ত্রধারী ,অসুরনাশিনী রূপ পাওয়া যায়, দুর্গা এক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী।

  •                  সম্পাদক - অনিমেষ সরকার

                         











শু ভ নী তা    মি ত্র 


বেওয়ারিশ




শ্মশানে রোদ ওঠে। বেবাক চুল্লি খিদে শুধু খিদে
নিয়ে চেয়ে দেখে লাশ...লাইনে দাঁড়ানো মানুষগুলো সংখ্যায় কাতর। অনায়াসে মাড়িয়ে দেয় চারার উন্মাদনা। জীবন মৃত্যু সংসার সাধনা
এঁকে চলে যে বেজন্মা তার কবিতার খাতা ফুরিয়ে আসে। পোড়া গন্ধ খিদের উপর চেপে বসে। দিশাহীন পাতাদের জড়িয়ে কাব্য লেখে অফিমখোর বেওয়ারিশ হাওয়া।



















কু হে লী   রা য় 


 দিনের শেষে 



আমি প্রতীক্ষায় ছিলাম তোমার ফেরার,
কিন্তু তুমি ফিরে আসোনি।

আমি প্রতিদিন আয়নায় মুখ দেখেছি,
তোমার জন্য নিজেকে রেশমি চাদরে সাজিয়েছি।

দিন থেকে রাত গড়িয়ে গেছে,
আমি ঘরের কোনে শুকনো গোলাপে পরিণত হয়েছি।

তোমার পথের পানে চেয়ে আমার চোখ লাল হয়েছে,
বিছানার চাদর পুরোনো হয়েছে।

আমার প্রতীক্ষার অবসান হয়নি,
তুমি শেষে ফিরে আসোনি।

দিন প্রতিদিন আমি মৃত্যু চাই এখন,
মৃত আত্মার সাথেই বাস করতে চাই এখন।

ভীষণ এলোমেলো হতে চাই,
ছন্নছাড়া ঘরবারে একলা শুতে চাই। মিত্র



















পা র মি তা ভ ট্টা চা র্য 


আত্মছায়া




আত্মহত্যা মহাপাপ ! অথচ
প্রতিদিন আত্মঘাতী হই।
খিদের আর্তনাদ
ভোজালির মতো ঢুকে যায় আমার পেটে,
এত মানুষের মৃত্যু-সংবাদ কণ্ঠনালী চেপে ধরে,
নিজের কবর খুঁড়ে আতর ছড়িয়ে দিই,
সমস্ত অক্ষর বুকে চেপে ধরে নিজের সমাধির সামনে বসে
অনর্গল কেঁদে চলি,
সংবাদ মাধ্যমের লোক আসে, ফোটো তোলে,
সকালের পেপারে খবর হয়,
মৃত্যুর কারণ-
নিভৃত-যাপন !

















অ দি তি  চ ক্র ব র্তী 


বিষাক্ত প্রেম 


প্রেমিকাদের ধুম পরে যায় রাস্তায়
ধর্মবিরোধী রা রোদ্দুর আটকায় বার বার,
সীসা তবে সস্তা ভীষণ শহরে
বিষিয়ে দেয় হাজার জমানো চিঠি।
আজকাল পারদ ও বারণ করে জ্বর মাপবো না মোটে
জ্বরের মাত্রা বাড়লে পরে,
প্রেমিক রা প্রেমিকাদের জ্বর নিলাম করে,
তার পর যখন মর্গ সাজে প্রেমিকাদের ভিড়ে
প্রেমিক রা আবার তখন প্রেম জবাই করে।













পৌ লো মী  স র কা র 


ক্ষত



গেরস্থ বাড়ির অভাব
 লেগে থাকে ছাদের দড়িতে ,
পাশের বাড়ি থেকে দেখা যায় সোজাসুজি
গোড়ালি ভিজবে বলে এক পশলা হয়ে গেলেও যাই না ;

অমানিশায় ছাদে দাঁড়াই
অভাবের নিজস্ব ঘ্রাণ
পুরাতনী ......
পরিচিত.........















সো মা  দে


দূরত্ব


কূল ভেঙে প্রবলভাবে নিজেকে উজার করে দিতো উচ্ছ্বাসে
আজ ক্রমশই পাল্টে নিচ্ছে চলার পথ ,  সরে সরে যাচ্ছে স্রোতের টান
প্রশস্ত হচ্ছে চর , বালিয়াড়ির নীচে জমা হচ্ছে অজস্র ভেজা অভিমান
অপেক্ষাটা তীব্র হচ্ছে . . .

ঘরে ফেরার আগে পড়ন্ত বিকেলে হেঁটে বেড়ানো সারস দম্পতির রেখে যাওয়া একখানি সাদা পালক
অন্তিম যাত্রার শেষ আচ্ছাদনের মতন ।

যেতে যেতে অস্তিত্বের শেষ চিহ্নটুকুও বিলিয়ে দিয়ে গেল অতল গভীরে









 চ ন্দ্রা ণী  গো স্বা মী


চামেলী মেমসাহেব


চা বাগানের
চামেলী মেমসাব পিঠে ঝুড়ি
বুকে বাঁধা সন্তান
নেমে আসছে পাকদন্ডীর রাস্তা ধরে

ওর
গলার গুনগুন সুর আর চোখের একাকিত্বের
যে মুহূর্ত
লিখে রেখেছিল ওয়ার্ডস ওয়ার্থ কবিতা "সলিটারি রিপারে"...

ওকে সাথে কথা কইতে গেলে হারিয়ে যাবে সেই কবিতা

শুধুই চেয়ে দ্যাখো ;

এই অপূর্ব সুর আর এ'রকম চা বাগিচার ফুলগুলি
একটু পরেই
ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাবে বাগিচার বাগানে
চা শ্রমিক হয়ে।











স ম্পি তা  সা হা 



প্রণালী


ইদানিং ক্ষিদে নয়,
ক্ষিদের মতো দেখতে কী একটা
মাথার ভিতর থাকে।
খাবারের ধরণ, রঙ কিছুই টানে না।
গিলে নিই শুধু স্তূপীকৃত মাখাটুকু।
কারো খেয়ে ওঠার অপেক্ষা নেই।
কাউকে জাগিয়ে রাখার তাড়া নেই।
কারো কথা শোনার আগ্রহ নেই।
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের চোখে চোখ রাখি।
খণ্ডচাঁদ, মধুকর আর প্রলয়ের আগের শান্ত বাতাস...
জড়ো হয়ে থাকে কর্ণিকার পাশে।

দরজায় কড়া নাড়ে কেউ। খুলে দিই।
শঙ্খলাগা শরীর, হাঁসুলিছন্দে নেচে ওঠে।
তুমি এক অমোঘ কৌশল
যার অবলম্বন আমি ছিলাম
অথচ আমার কথা শোনার সময়
মৃত ফুলের মতো ভেসে থাকতে।

দরজা ভেজিয়ে দিই।
শহরে নতুন ব্যাধির নাম শোনা গেছে।
মাথার চুল লাল হয়ে যায়। চোখ বেগুনী।
পিশাচ ঘনিয়ে আসে পাঁজরের পাশে।

একা থাকতে হয়।
নিজের কাজ গুছিয়ে নিতে হয়।
সংক্রমিত হওয়ার আগে
সারাবাড়ি ধূপগন্ধীআলো ছড়িয়ে দিই।
জানালা মুছে, ফাঁকা পাত্রে জল ভরে রাখি।
ঘরদোর পাট পাট সাজানো...

অসুস্থতার বাহানা দিয়ে
ঠেকিয়ে রাখা কাজ, সম্বরণ খুইয়ে
ধুতুরাবিষের দিকে হাত মেলে দেয়।
স্পষ্ট দেখতে পাই পাষাণপুরীর দরজা দিয়ে,
ঠান্ডা মাথায় খুন করে তুমি হেঁটে আসছ।

বুকের ভিতর বাজেয়াপ্ত আয়ু...















নী প বী থি  ভৌ মি ক 


 দাগ



ক্ষতকে উপশম দিলে সব ক্ষতই কি সেরে ওঠে ?

    হলুদ বাটি, চুন মেশাই,
 ক্ষত শুয়ে থাকে অথচ প্রবল পরাক্রমে

     আমি নিভাতে চাই জল। অথচ নিভে
        যায় আগুন...

             মাঠ ভিজে যায়। কাঁটাতার ভেঙে যায়
             মিথ্যে আর সত্যের সন্ধানে

   ক্ষতকে উপশম দিলে সব ক্ষতই কি
       সেরে ওঠে নিজস্ব ঘরে











শি খা  ক র্ম কা র


বুনবো



বুনবো আজকের দিন আশ্চর্য এক আলোয় । চার প্রহরে, সার দিয়ে দাঁড়াবে তরুণ নক্ষত্রেরা,  পাশে থাকবে এ পাড়ার স্বাতী, অরুন্ধতী, কালপুরুষ। যেসব উদাস, ভাঙ্গাভুঙ্গি ও ছেঁড়াফাটা  মানুষগুলি,  কবিতার কথা ভাবতে ভাবতে নিজেরাও হয়ে ওঠে সে আলোর অচ্ছেদ্য অঙ্গ, যোগ দেবে তারাও।  যারা চেনে শুধু শান্ত ভোরের মগ্নতায়, উদার কিছু কবিতার পঙক্তি। জীবন শুদ্ধ করে দেওয়া মন্ত্রের মত বিন্দু বিন্দু মায়া। যাদের আছে  সব ভুলে শুধু বিহ্বল হয়ে ভেসে যাওয়া ।

ভুলে গিয়ে অন্য সব টান, আদুরে বেড়ালগুলি আসবে কাছে;  আর শিশির ছুঁয়েই কেঁপে উঠবে রক্তকরবী।  আমি একটি একটি করে খুলবো জানালার পর্দা, আর দৃষ্টি বিনিময় হতেই ধ্বক করে ওঠা বুকে, দুচোখ সরু করে চেয়ে থাকবে রাতজাগা হরিণ । তবু সরে যাবেনা,  আলো পড়ে ঝলমলিয়ে উঠবে সোনার অঙ্গটি ।  

চা উথলে পড়বে আর ঝাঁঝ দেখাবে ষ্টোভের রক্তাভ বৃত্ত । খেলাচ্ছলে এসে কুচি কুচি পাখিরা স্পীডে উড়ে বেড়াবে  বাগানময়,  তবু তা চেয়ে দেখবনা। আমি তখন  শুধু গোলাপি আভার কররেখার দিকে তাকিয়ে থাকবো, দেখবো, ঝাপসা হয়ে আসা ভাগ্যরেখা, আয়ুরেখা, বন্ধুরেখা। ভাববো, ‘যেভাবে এই বাড়িটিকে বুকে জড়িয়ে আছে বাগানটি, সেভাবে আমাকে জড়ায়না কেন প্রিয় কবিতা?’

সেই মুহূর্তে জানলা দিয়ে ঘরে আসে ওভারসাইজ এক আকাশ, যার বুকের নীলে ডানা মেলে হেমন্তের আগমনের খবর দিতে চলেছে অগুনতি উড়ন্ত রাজহাঁস । সারাটা মহাদেশ জুড়ে তখন পেকে, রসে টইটম্বুর হয়ে আছে আপেল ও আঙুরেরা । আমাকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে উড়ছে প্রজাপতিরা,  বসছে পাপড়িতে,  মেশাচ্ছে পরাগ,  ব্যালেন্স করছে লতার ডগায় । ভিড় জমাচ্ছে ভ্রমর, মথ, মৌমাছিরাও। জানি,  একটু পরেই ঘুম ভাঙবে বুকের ভেতরের তন্ময়  নদীটির, ভেসে যাবে জীবন তার নিজের স্রোতে । স্বপ্নে তোমাকে দেখে আবার ভুলে যাবো নিঃশ্বাস নিতে; ঘুম থেকে উঠে ভাববো, “দিন বুনবো আশ্চর্য এক আলোয়, হয়ত আজ বুকের খুব কাছে এসে, গলা জড়িয়ে ধরে চুমু খাবে মগ্ন কবিতাটি’।










নি কি তা মু খা র্জ্জী (নীহারিকা)


খর্ব হওয়া নারীশক্তি



আজও কিছু প্রতিভা বোরখার আড়ালে মাটি চাপা পড়ে যায়
আজ শিকল মুক্ত হয়নি কিছু উড়ন্ত নারী শক্তির
আজও কণ্ঠ রুদ্ধ করা হয় ওদের
ওরা আজও ভ্রূণেই নষ্ট হয়
কিছু ব্যতিক্রমী পুরুষ সমাজ
যারা জোর গলায় বলে...
'তোমরা স্বাধীনতা লাভ করেছে'
তারাও কখনো গভীর ভাবানুরাগী হয়ে
ওদের নারী স্বাধীনতা খর্ব করে








স হে লী  স র কা র 

বৃদ্ধাশ্রম

                   

জন্মদাতা জন্মদাত্রী ,
জন্ম কেনো দিলে?
       সন্তান-সুখ  পেতে গিয়ে,
 সর্বহারা  হলে।

   যারা চেনালো রামধনুর সাত রং ,
 যারা শেখালো  বর্ণমালা ,
  যারা বুঝালো ঠিক-বেঠিক  ,
 তাদেরই আজ অবহেলা ।

 সম্বোধন করতে যাদের খোকা-খুকি বলে ,
তারাই আজ পর করলো তাদের সাফল্যে  ।
 মাথার ঘাম পায়ে ফেলে করেছো যাদের বড়ো  ,
 আজ মস্ত-বড়ো হয়ে তারা লাথি মারছে পেটে ।

    যারা ছিলো অন্নদাতা ,
তারাই আজ অন্নহারা ।
বয়সের ভারে ভারপ্রাপ্ত তাঁরা।
খোকা-খুকি করেছে তাই,
আজ তাদের ঘর-ছাড়া ।

 
তোমরা করতে যাদের পুজো জমজমাট ,
পোশাকের বাহারে ।
   তারা দিয়েছে বিদায় পাজামা আর ময়লা শাড়িতে।
    সর্বশেষ আশ্রয় আজ শুধুই বৃদ্ধাশ্রম।














রী না  ম জু ম দা র 

প্রচ্ছদ


একটা বইয়ের কথা মনে পড়ে
   কবেকার দেখা,
  প্রচ্ছদে একটি আঁকা
 দীপ্ত মুখে চোখে জলের ধারা

কবিতায় জীবনের সব
  এঁকে রাখা চিত্রপট!
 শৈশবের পুতুল খেলা
ধানসিঁড়ি নদীটির কৈশোর ছেড়ে
 গেঁথে দেওয়া ঘরময় লক্ষ্মীরপট
প্রৌঢ়ের জরাজীর্ণ দিনলিপি
 ক্রমাগত প্রতিদিন পরিবর্তমান-
"যেতে হবে।যেতে হয়-- যাওয়াই নিয়ম।"
শেষটা, লিখবে না কবি ?

মনে পড়ে প্রচ্ছদে
   একটিমাত্র মুখ...


মন্তব্যসমূহ

  1. সব ঠিক আছে। Aesthetics চমৎকার। শুধু, র আর ড় এর ভ্রান্ত ব্যবহার - যা এ সময়ের সাহিত্যের প্রায় দুরারোগ্য ক্যান্সার এ পর্যবসিত - কষ্ট দায়ক।

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সংখ্যা ১৮ || বর্ষ ৫

ফেরার অধ্যায়: -২য় বর্ষ সংখ্যা ১৫

বিষয় - বই আলোচনা-সংখ্যা ১৬ বর্ষ ২