পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Web ডুয়ার্স ১৩/২ - সম্পিতা সাহা - গুচ্ছকবিতা

ছবি
কবি পরিচিত : -  সম্পিতা সাহা। হুগলির চন্দননগরে বাস। বর্তমানে বাংলা ও রবীন্দ্রসংগীতে স্নাতকোত্তর পাঠরতা। লেখালিখির পাশাপাশি ভালোবাসি ছবি আঁকতে, গান গাইতে, ছবি তুলতে ও ঘুরে বেড়াতে। মানুষের জীবন ও তার সমানুপাতিক যাপন আমার লেখার মূল কারণ। ২০১৯ এর জুলাইয়ে, বার্ণিক প্রকাশন থেকে প্রথম কাব্যপুস্তিকা প্রকাশিত হয়েছে, নদীর এখনো বিশ্রাম কাটেনি।   পরিধি ১. একদিন ভোরে উঠে মুখোমুখি তাকিয়ে দেখব মূহ্যমান চোখের পাশে উনানতমসা... গাঢ় হয়ে বসে আছে চাপ চাপ। ক্যালেন্ডারে অনিশ্চিত ফুটে আছে চিহ্নিত দাগ। উদভ্রান্ত হয়ে ছুটে যাবো জিভ দিয়ে চেটে তুলে দেবো সমস্ত জমিয়ে রাখা তারিখের লাল... যে মানুষের কাছে গেলে বাড়ির গন্ধ পেতাম এখন তেমন মানুষে ভয় লাগে। বেশ বুঝতে পারছি, আগুনের ব্যবহার নতুন করে শিখতে হবে। ২. বরং এক এক করে ভেঙে ফেলো বিরল তাগিদগুলো। দেওয়ালে ঝোলানো ছবি কোনোরাতে জীবন্ত হয়ে এসে সামনে দাঁড়ালে, কতটুকুই বা শান্ত হয়ে থাকবে! জারিত হয়ে আসা জীবনের কাছে প্রলাপ শিখেছ যত সেই ভাষা প্রয়োগ করে দেখো... আরেক দান বেশি খেলে যাবে অনিবার্য ঈশ্বর। যারা ছিলো তাদের রেখে দেওয়ায় অভাবনীয় কিছু নেই। যারা আছে

Web ডুয়ার্স ১৩/২ - সুদীপ্ত মাজি - তিনটি কবিতা

ছবি
কচুরিপানা   ভেসে আছো জলের ওপরে # জলের মজায় জাগা অস্থির তরঙ্গভঙ্গ                              কত রঙ কত কত রঙ # রঙের বিপুল রঙে একাকার তুমি ছাড়া সব # সবাই গল্পের ভিড়ে, সবাই গানের অন্তরায় # তুমি ছাড়া সকলেই সবকিছু, সব খুঁজে পায়... শাপলা   পাড় ঘেঁসে একা বসে নিষ্পলক এই চেয়ে থাকা # এটুকুই চেয়েছিলে? তোমার ফোটার দিকে আমার নন্দন # নিভৃত ইশারা নিয়ে ঝুঁকে থাকে শারদ আকাশ # রঙের সম্ভ্রম জাগে নির্জন বিকেলে... পদ্ম   আমি এক আগন্তুক, স্পষ্ট বাক্যের মধ্যে              জেগে ওঠা কোলাহল থেকে খুব দূর একা মানুষের শ্বাস শুনতে চেয়ে এখানে এসেছি # মৃণালের বহু নীচে ঘুমন্ত জলজ সাপ                                   মাথা তোলে বলে শারদ-সকালে জলে নেমে আসা                         কিশোরের হাত চেপে ধরি : # নন্দন আহরণও রুদ্ধশ্বাস, অশ্রুভারে মোড়া # অদূরে তাকিয়ে দেখি — মাছ ও পদ্মের পাশে পানসুপারির থালা                                          রেখে গেছে কেউ...

Web ডুয়ার্স ১৩/২ - উজ্জ্বল বর্মন -তরুণ এর গুচ্ছকবিতা

ছবি
তরুণ কবি পরিচিতি  :-  গ্রাম হাতিয়াডাঙ্গা,শিলিগুড়ি শহর।বর্তমানে কলেজে বাংলা অনার্সের ২য় বর্ষের ছাত্র।২০১৮উওরবঙ্গ সংবাদ পত্রিকা থেকেই আত্মপ্রকাশ।নিয়মিত বেশ কয়েকটি পত্রিকা লেখালেখি করছি।লেখালেখির পাশে বই পড়তে খুব ভালোবাসি আর সাথে রান করি।   বিরহ মৃত পাথরের দিকে তাকিয়ে থাকি, নিঃস্ব কঙ্কাল দেখি। জ্বলন্ত চোখ দেখি। মায়াবী প্রেমিকাকে দেখি। নিজেকেই প্রশ্ন করে উঠি? বিরহটা কার? ক্ষয়িষ্ণু পাথরের বা জীবাশ্মের! নাকি গোলাপের কাঁটার! নাকি রাত জাগা জোনাকির! বিরহের কখনও নাম দেইনি, কবিতার সাথে কখনও আমার বিরহ ঘটেনি। বহুদিন যাবৎ একটা প্রেম বুকের পাজরে জন্ম নিয়েছিল,হয়তো... তবে তোমার সাথে বিরহটা খুঁজতে গিয়েই, চোখে বন্যা ডেকে আনি। বিরহটা বহুদিনের, চোখের জলের সাথে সাদা ভাতের...। অনুজীব আমি কিন্তু কখনোই তুমি নই, অবশ‍্য তুমি যা ভাবছো আমি সেটাও নই... আমি কোনো ব্রহ্মপুত্র,কোনো প্রাচীন জীবাশ্ম,মরুভূমির ধূলিকণার মিশ্রণও নই...। আমি আদতেই অনুজীব, আমি বইয়ের ভেতর মুখ গুজে থাকা 'মই। চক্রান্ত সৈন‍্য এক-পা দু-পা করে এগোতে এগোতে মৃত‍্যুকে ডেকে আনে। ঘোড়ার প্রচন্ড বেগে ছুটন্ত

Web ডুয়ার্স ১৩/২ - অঙ্কিত দে - তরুণের গুচ্ছকবিতা

ছবি
তরুণ কবিপরিচিতি : "দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে, পিঠের বুক চওড়া হয়"- একদিন এই পরিস্থিতির থেকেই লেখা শুরু করেছিলাম। উচ্চমাধ্যমিক অবদি বিঞ্জান বিভাগের ছাত্র ছিলাম, বাংলা পড়তে পড়তে একটা সময় ইচ্ছে হলো বাংলা কবিতা লেখার, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত জীবনে এমন কোন কিছুই ঘটেনি যেটা আমাকে শব্দের সাথে দৃঢ় ভাবে ধরে রাখতে সাহায্য করবে। বাংলা সাহিত্য নিয়ে পড়লাম কোলকাতার আশুতোষ কলেজে।বয়স তখন ১৯। বাড়িতে কেউ জানতো না যে আমি লেখালেখি করি। উত্তরবঙ্গ সংবাদে ১৯ বছর বয়সে যখন প্রথম ছাপা অক্ষরে কবিতা প্রকাশিত হয়, তখন সাহস হয় এটা বলার যে কবিতা আমার নেশা।তারপর ২০১৯ সালে কোলকাতার বিভিন্ন ছোটপত্রিকায় কবিতা প্রকাশিত হয়েছে একইসাথে সুযোগ হয়েছে আন্তর্জাতিক পত্রিকায় লেখার। এছাড়াও লিখেছি আজকাল, উত্তরের সারাদিন ইত্যাদি সংবাদপত্রে লিখেছি। কোচবিহার থেকে প্রকাশিত মেঘের ভেলায় একাধিক লেখা বর্তমান। কবিতা লিখতে "পেন নেম" হিসেবে নিজের নাম সর্বদা "পাথর" লিখেছি, কারণ - আমি চাই, সমাজের গতানুগতিক পচাগলা চিন্তাধারা সমৃদ্ধ কাঁচের ইমারত গুলোকে পাথর দিয়ে ভাঙতে, প্রত্যেকটা পাথর মুখপাত্র হো

Web ডুয়ার্স ১৩/২ - সত্তাপ্রিয় বর্মন - তরুণ এর গুচ্ছকবিতা

ছবি
তরুণ কবি পরিচিতি : -   সত্তাপ্রিয় বর্মন, জন্ম - ১৭ ই নভেম্বর ১৯৯৬ ।নিবাস কোচবিহার জেলার দিনহাটায়। শিলিগুড়ি আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় গভর্নমেন্ট কলেজ থেকে বি এ, বর্তমানে কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বঙ্গভাষা ও সাহিত্য বিভাগে এম এ পাঠরত। প্রথম কবিতা প্রকাশ উত্তরবঙ্গ সংবাদে।তারপর থেকে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লিখেছেন। ওয়েব  ডুয়ার্স এর নিয়মিত লেখক ।  প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ - 'কবি ও অন্ধকার রাজপথ'(২০১৯)।প্রবল সম্ভাবনাময় এই তরুণ। জ্বর ও আশ্বাসের শব্দগুচ্ছ চাবুক চুপ - হাঁড়ির মাথায় ভাপ দিচ্ছ শব্দহীনতা আমাকে আঘাতে আঘাতে মালভূমি সাজালে আমি চুপ করে থেকে সংকল্পে ধার দেই, তুমি চাঁদের মুখে দৃশ্যমান কলঙ্ক হয়ে দেখা দাও। সাদা পৃষ্ঠায় স্মৃতির মত ধানক্ষেত কুরুক্ষেত্রের পর কলঙ্ক দিয়ে জ্যোৎস্না-আলো পাঠাবো এটেল মাটির পা-দানিতে                     গর্ভবতী ধানেরা আকাশে হাত মেলে দাঁড়াবে। কাচের বয়ামের ছিপি খুলে নির্যাস বের করে আনি, আমাকে চাবুক মেরে শূন্য করে যাও - নিরবতা। বিশ্বাসঘাতক ঘষা কাচে দেখি না কিছুই অশ্বত্থামা হত গাছের কোটরে শাসকের কাছে সব বিপ্লবীই

Web ডুয়ার্স ১৩/২ - অয়ন মন্ডল - গুচ্ছকবিতা

ছবি
অসময়ের কবিতা                                   (১) আগের রাতের কথাগুলির মাঝেই খুশির পাহাড় মিশে আছে (আগুনেই/ সমস্ত আগের শব) পালকের উদাসীনতা পাখির আগে মন পুড়ে মৃতগাছ হয়েছে শরীর... প্রতিটি নদীর বাঁকে আবেগ ঢেউয়ে জালের শরীর রাখে বিছিয়ে নাবিক... প্রভু, ক্ষমাহীন প্রেমের নৌবিহার শিখিয়ে দাও কমলারঙের মৃত্যু দাসত্ব বোঝে না                                     (২) তোমার কাছে যেতে চাই কাঠের আগুনের হাঁ-মুখ বিস্ময় টিনের চালের বেড়া লাউমাচায় ঘেরা বালিকাবেলা নাভির পাশে সুখদুঃখের গল্প স্বপ্নের আকাল মহামারী ঘোষণা শেষের বাতিল ট্রেন তোমার কাছে যেতে চাই ! আগুনও কী আলো? পুড়তে পুড়তে এগোয় আয়ু আশু তোমার নয়ন শব্দহীন সংসার                                       (৩) দীর্ঘদিন ফুরফুরে হাওয়ার মতো মৃত্যুর কদর বেড়ে যাচ্ছে... মৃত্তিকারঙের শরীরে লেপ্টে আছে ভালবাসার আঁতুরঘর ৯ই সেপ্টেম্বর তুমি-আমি অন্তরালে তিন ঢোক গিলেছিলাম ন্যাংটো শরীরে তারপর,কতরাত জোনাকির মতো কেঁদেছি লাউডগা সাপের সজীবতা ধার নিয়েছিল তোমার শরীর-কাছের সমস্ত অনাদর শরীক হয়েছিল আমার দেহের    

Web ডুয়ার্স ১৩/২ - খোকন বর্মন - তরুণ এর গুচ্ছকবিতা

ছবি
তরুণ কবি পরিচিতি : -  খোকন বর্মন  জন্ম 2.12.1998. বলরামপুরের চেকাডারা গ্রামে। মা যোগমায়া বর্মন, বাবা কমলাকান্ত বর্মন। বলরামপুর  উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনা। এরপর আচার্য্য ব্রজেন্দ্রানাথ শীল মহাবিদ্যালয় থেকে বাংলা নিয়ে বি এ. এখন কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে এম এ পড়ছেন. কবিতায় এসেছেন প্রথম দশকে।   সাম্যতা মাটি খুঁড়লে উঠে আসবে সেইসব  গভীর তত্ত্ব ।  পরিবর্তনের ঘেরাটোপে আজ মিলে গেছে ভাজ্য ভাজকের ভাগফল- অবশিষ্ট আকাশের নিচে ক্রস চিহ্ন দেয়ারর আগে বলে যেতে চাই আমাদের মধ্যে কখনো অনুপাত ছিল না।   অটোগ্রাফ বাবার একটা ছোট্ট ধানক্ষেত ছিল ,বিচ্ছেদ  ছিল না আলের মতো   নরম কাদামাটির মতো ভালোবাসা ছিল গভীর   আমন ছাড়া অন্যকিছু বুনত না পাকাআমনের শিস আমার মায়ের মুখের মতো । মরুভূমি মা  আমার কাছে ভাওইয়া সেতুর মতো, বোনের মৃত্যুর পর মা হয়ে ওঠে  মরুভূমি। বিষণ্নতার  বালিতে ঢেকে যায় বাবার চোখও, আমার বুকে বিদ্ধ মৃত্যুর  ব্যারেল ক্যাকটাস  ওয়েলউইটসিয়ার মতো দীর্ঘায়ু হয় মায়ের হতাশা  উবে যায় ভাঙা তৈজসপত্রের মতো বেঁচে থাকার সারেগামা।   বিরতি ফ্যানের তিনটি ব্লেডের মতো জীবন মাঝে

Web ডুয়ার্স ১৩/২ - কুহেলী রায় - তরুণ এর গুচ্ছকবিতা

ছবি
তরুণ কবি পরিচিতি : -   জন্ম = ১৪ মার্চ ১৯৯৩ বাবা =বরেন্দ্র নাথ রায়,  মা =বীথি রায় শিক্ষা =বাংলা সাহিত্য স্নাতকোত্তর প্রথম লেখা শুরু ২০১৯ থেকে মুক্তবীনা অনলাইন সাহিত্য পত্রিকার মধ্য দিয়ে। কবিতা ভালোবাসি তাই কবিতায় জুড়ে থাকি। কবিতার শরীর বেয়ে ভালোবাসার ঝর্ণা। কবিতার মধ্যে খুঁজে পাই নিজেকে। কবিতাপ্রেমী ভীষণ। একগুচ্ছ কবিতা   (1) বিষন্নতার অসুখে ছেয়ে ধরেছে আমায়, মনের ঘরে বোলতার চাক, নোনাধরা দেয়াল জুড়ে, আমার মনকেমনের ছবি। টেবিলে পরে আছে ভাঙা কম্পাস, কেন্দ্রবিন্দু উধাও। বিছানা ভর্তি বালিশ চাদর, তাতে ভোররাতের কান্নার গন্ধ। পরে আছে ভাঙা আয়না, তাতে প্রেম আর আমার ছবি, পরস্পর আবার মুখোমুখি। (2) হতাশা আর গ্লানির বোঝা বয়ে চলেছি, মাইলের পর মাইল। চারপাশে মুখোশের ভিড়, আর আমার মৃত্যুরুপী বন্ধু। আমি দিশাহীন, আমার নগ্ন পায়ে কাঁচ ফুঁটে আছে শত। পথে কত বোষ্টমীর দেখা, জেগে ওঠে আমার দেবতার মুখ। তবু আমি চলি, যদি দেবতা পাই কখনো। (3) শতবার আমি প্রেমিকার শরীর ছুঁয়ে দেখেছি, নিরালায় তাকে আলিঙ্গনের ক্ষিপ্রতায় ছুটে গেছি, আমি কবিতা ভালোবাসি তাকে একখানা শ্বেতশুভ্র ক

Web ডুয়ার্স ১৩/২ - নীলাদ্রি দেব - গুচ্ছকবিতা

ছবি
কবি পরিচিতি : -   নীলাদ্রি দেব. জন্ম 14 এপ্রিল, 1995. কোচবিহার (পশ্চিমবঙ্গ). শারীরবিদ্যায় স্নাতক. যুক্ত আছেন শিক্ষকতায়. কবিতাবই- ধুলো ঝাড়ছি LIVE, জেব্রাক্রসিং ও দ্বিতীয় জন্মের কবিতা, এবং নাব্যতা. সহ সম্পাদিত পত্রিকা- ইন্দ্রায়ুধ, বিরক্তিকর. এলোমেলো আলাপ, কিংবা অন্ধকার   এক. মেঘের ছায়ার নিচে আমাদের এলোমেলো পথ পথের হোঁচট ও হাততালি পেরিয়ে     থিতু হতে চায় আদি অনন্ত শ্বাস বাঁচার বিশ্বাস আলপথ সংকীর্ণ হতে থাকে আমাদের যাতায়াত আরও গাঢ় হয় দুই. দূরে কোথাও দূরে পাহাড়ের পিঠে রোদ সমস্ত নীল মিশে যাচ্ছে সবুজের গায়ে অবিচ্ছিন্ন যৌথতার সুর                ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘের কার্নিশে দুপুর ও বিকেলের মাঝে             শুধু একটি পিন পতনের শব্দ তিন. পরিখার পাশে পাশবালিশ রেখে গেছে কেউ কাকতাড়ুয়ার ডানাতেও কাক এসে বসে শস্য হারিয়ে যাচ্ছে রোজ ইঁদুরের গর্তে চোখ রাখি, রাখি আপাত সন্দেহ ক্ষমতাচেয়ারের পাশে ঘুণ নয়, তুষ লেগে আছে চার. পথ, শুকনো নদীর মাঝে শান্ত বিভাজিকা নদীখাতই সবচেয়ে বিশ্বস্ত পথ হতে পারত কিন্তু হারিয়ে ফেলেছে নিশান ও দিকনির্দেশ স্রোত এমনই

Web ডুয়ার্স ১৩/২ - অজিত অধিকারী - গুচ্ছকবিতা

ছবি
দ্বিতীয় পৃথিবী পৃথিবীর পাশে দ্বিতীয় আর একটি পৃথিবীর কথা ভাবি সেখানেও কি মহামায়ার  মায়া আছে? এই পৃথিবীর মায়াই তো মোহরের মতো সনাতন সেই  পৃথিবীর মায়া কেমন হবে গো? সেখানেও কি কুমার গ্রামের নদী আছে? আছে কবিতা গ্রামের পাখি? এক নদীর মায়ায় তো জীবন কুপোকাত। আমার ছোট্ট ডিঙি এই নদীর কিনারা পায় না, সনাতন। তমিরা এমন এক চিঠি দিয়েছে, চিঠি তো নয় একটা দীর্ঘ কবিতা পাহাড় নদী ঝরনা মরগান হাউস সব এখানে খোদা তো এক আলাদীন সনাতন- ছোট্ট দুটি চোখ আর রহস্যের এতবড় দুনিয়া চোখ  দিয়ে     আনন্দাশ্রু  নামে,দুঃখের বরফ জমে। খোদা  আমার অশ্রুকে মুক্তো করে দাও,মুক্ত করে দাও এই কথাই বলি সনাতন, হৃদয় খুলে খুলে   হারজিত বোন বলে,দাদা আমরা বার বার হেরে যাচ্ছি ধরে রাখতে পারিনি সুজিতদাকে এবং আমাদের রেখে জামাইবাবু অনন্তে গেলেন তার এই প্রশ্নের কাছে আমি হতবাক কীভাবে উত্তর সাজাই,নদী গাছ আকাশ সবার কাছে নতজানু হয়ে বলি-আমাকে একটা উত্তর  দাও আর আমার ঈশ্বর নিজেই কিংকর্তব্যবিমূঢ় অবশেষে  বোনের কাছে যাই,মাথায় হাত রেখে বলি -  বোন ,মানুষের দুটো বাড়ি। প্রথমটি হলো প্রি- নেটাল হোম আর দ্বিতীয়টি হলো

Web ডুয়ার্স ১৩/২ - রত্নদীপা দে ঘোষ - গুচ্ছকবিতা

ছবি
চরিত্র পরীক্ষার সময়   প্রথমে খুলে দেওয়া হল আমার‘ফ্রিডম ‘ লেখা টি-শার্ট ( গড়িয়াহাট থেকে কেনা , একশো টাকা এক জোড়া ) কালো ব্রেসিয়ার ফুঁসে ... বিপ্লবে ? বিদ্রোহে ? আমাকে ঘিরে যারা দাঁড়িয়ে ছিল তাদের মধ্যে বেশ ক’টি শিশুও ... তারা হাততাতলি দিয়ে উঠলো  পাহাড় ... পাহাড় ... আর তাদের বাবারা যারা আমার সতীত্ব পরীক্ষা করছিল তারা প্রত্যেকেই চুষতে শুরু করলো দার্জিলিং ... হাত নেমে এলো কোমর ছিন্ন করা হল বেল্ট ঝুরঝুর ঝরে পড়লো জিন্স হাল্কা ব্লু প্যানটি খুলে দিল মুখ মুখের ভেতর গাছ ভর্তি মিষ্টি মিষ্টি খোবানি শিশুরা চিৎকার করে উঠলো খেজু ... র ... আমরাও খাবো খেজুর এক হাত শিশুর মুখ চাপা, অন্য হাতে মুখের ভেতরে বল্রুম জ্বেলে দিল বাবা পরবর্তী ক্যানভাসে আমার আদলে একটা সাদাবিমান আঁকা হয়েছিল কাঠের ওপর তেলরঙ প্রেক্ষাপট দীপলাল ‘ওম্যান উইথ হার ফায়ারworks ‘’ 2   আমি নিজে আটান্ন কেজি বুক দুটোর ওজন আর কত হবে ... মেরে কেটে দুই কেজি.  আচ্ছা , ধরে নাও  ... শিশুমেয়ের মত শুধু হয়ে আছি ... ব্রেসিয়ার পরে নেই এখন ।  ১50 গ্রাম আরও মাইনাস । তো সাকুল্যে দাঁড়ালো ... দু কেজি মাইন

Web ডুয়ার্স ১৩/২ - সুজিত অধিকারী - দুটি কবিতা

ছবি
জন্ম : - ১৯৭৫ - ২৮শে নভেম্বর মৃত্যু : - ২০১৪ - ২৫শে জুলাই   কবি পরিচিতি  : - কবি সুজিত অধিকারীর জন্ম ১৯৭৫ সালে ২৮শে নভেম্বর, কুচবিহার জেলার নিশিগঞ্জ অঞ্চলে। পদার্থ বিজ্ঞানে এম.এস.সি ,কবি সুজিত মাথাভাঙ্গা হাইস্কুলে সহশিক্ষকপদে কর্মরত অবস্থায় ২০১৪ সালে ২৫শে জুলাই হৃদরোগে হঠাৎ মারা যান। কবি সুজিতের কাব্যভাষা একটা নতুন দিগন্ত। রোমান্টিক হয়েও কতটা মডার্ন হওয়া যায় তার উদাহরণ কবি। কবি সুজিত অধিকারীর স্মৃতিতে ওঁর জন্মস্থানে ২০১৪ সালে নৈষ্ঠিক অ্যাকাদেমি প্রতিষ্ঠিত হয়।সারাবছর ধরে অনেক কাজ চলছে।   অশ্রুগুলি মনোদির বড়লোক বাড়ির বনফুল  হয়ে ওঠার স্বপ্নগুলি ছিঁড়ে ছিঁড়ে খায় অকাল রাত্রির কাক সেই মনোদির স্বপ্ন গুলি আমার  কবিতায় কথা বলে মানুষের অশ্রুগুলি কোনওদিন কি থেমে যাবে না? আরো একা সবাই এখন স্তব্ধ সবাই বোঝে পাড়ায় একটু শান্তি থাকলে ভালো লাগে তবে সবাই  উদাসীন হলে চলে? অবশ্য  একদিকে বাঁচালে অন্য এক দিকে বেরিয়ে যায় সবাই এখন স্তব্ধ কী করে যে সেখানে গান হয় ভাবতে ভাবতে আমি আরো একা হয়ে যাই

Web ডুয়ার্স ১৩/২ - সুমিত মন্ডল - গুচ্ছকবিতা

ছবি
আমার রাজ্যে আজকাল ভালবাসার কথা বলা হয়না, মাঝেমাঝে গভীর অন্ধকারে - মৃত্যু ভয়  নেমে আসে সিলিং ফ্যানের শব্দে । বিছানার পাশে টেবিল টেবিলে সাজানো কিছু বই, ক্যালেন্ডার থেকে দিনগুলো ঝরে পড়ছে টেবিলে । টেবিলের ছোটো ঘড়ির কাটা দু'টো ক্রমশ চিৎকারে বলে ওঠে সমস্ত বই যেন এক একটা যুদ্ধবিমান । নামমাত্র স্বাধীন রাজ্যে পরাধীন প্রজার মত টেবিলে পড়ে আছে কালি ফুরিয়ে যাওয়া কিছু কলম । এখানে যুদ্ধ হলে - হিংসা মরে ,  ঘৃণা মরে মানুষ মরে না … আমাদের মুখোমুখি দেখা হলে   এইতো সেদিন শিলাবতি নদীর জলে পা ভিজিয়ে হেঁটে যেত  দুরন্ত এক কিশোর কাল অর্ধেক চাঁদের মুখ ভেসে যেত বাতাসের বেগে জলের স্রোতে , মনে হতো শতাব্দীকাল আগে একটা হারিয়ে যাওয়া ডিঙি ভেসে যায় দিক শূন্যে । আজ আর তেমনটা দেখিনা চোখের কাছে শুধু দেখি গাছগুলো মাথা তুলে বেঁচে আছে হৃদয়পুরের মাঠ জুড়ে ... খেলনাবটির শব্দ এখন বাড়ির ছাদে একা একা ভিড় জমেনা আট বয়সের  রান্নাঘরে এখন কেবল সুখ ভেসে যায় জলের বুকে অন্ধকারে ডুব সাঁতারে কিশোরেরা স্বপ্নে আসে । সেই দিনটা হয়ত কা

Web ডুয়ার্স ১৩/২ -নিকিতা মুখার্জ্জী(নীহারিকা) - তরুণ এর গুচ্ছকবিতা

ছবি
তরুণ কবি পরিচিতি: - আমি নিকিতা মুখার্জ্জী  ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হুগলী জেলার অর্ন্তগত চুঁচুড়া (পো: সাহাগঞ্জ) আমার জন্ম ২০০০ সালে ৯ এপ্রিল। হুগলী জেলার অন্তর্গত ব্যান্ডেলএ 'হুগলী বালিকা  উচ্চবিদ্যালয়' থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে 'শ্রীরামপুর মিশনারী কলেজ' এ বর্তমানে 'সাহিত্য অনার্স ' নিয়ে B.A(তৃতীয়বর্ষ) তে পঠনপাঠন করছি। আমার বাবা প্রশান্ত মুখার্জ্জী হকারীর সাথে যুক্ত এবং মা রিন্টি মুখার্জ্জী গৃহবধূ।ছেলেবেলা থেকে লেখালিখির ওপর টান ছিলো অগাধ তাই মাত্র দ্বিতীয় শ্রেনী তে পঠনপাঠনএর সময় জীবনের প্রথম কবিতা লেখা শুরু, অষ্টম শ্রেনীতে থাকা কালীন 'আমি লিখছি' নামে একটি কবিতার বই ছাপা হয়।  বেশ কিছু জায়গায় আমি নীহারিকা নামে লেখালিখি করি তাই সুবিধার্থে নামের পাশে এই নামটিকে যুক্ত করি। ইতিমধ্যে বেশ কিছু পত্রপত্রিকায় আমার লেখা প্রকাশিত হয়েছে। আরো দৃঢ় হও আরো দৃঢ় হও যা কিছু স্বপ্ন লুট করেছে তারা ছিনিয়ে নাও আরো দৃঢ় হও প্রতিবাদ করো সহ্য সীমা পেরিয়ে গেলেও বারবার যারা করতে বলেছে চুপ ঠিক বিপরীতে উচ্চস্বরে প্রতিবাদ করো তোমায় নিয়ে স্বপ্ন দে

Web ডুয়ার্স ১৩/২ - শুভ্রদীপ রায় - গুচ্ছকবিতা

ছবি
১. স্কারলেট উইচ অনুপম মুখোপাধায় তার উপন্যাসে বলেছেন -- 'পৃথিবীতে দুটো মেয়ের চুলের গন্ধ কখনও একই হয়না'। আমার সে কথা  যাচাইয়ের সুযোগ  হয়নি। অথচ আমি তোমার চুল দেখেই প্রেমে পড়েছিলাম।কারন হাজার জনের ভিড়ে একমাত্র তোমারই স্কারলেট চুল।আরও গভীর সাক্ষাতে জানতে পারলাম তোমার হাতে ' 666’ আর ছাগমুন্ডের ট্যাটু। তুমিই আমাকে বললে টেলিকাইনেসিস শব্দের অর্থ। প্রায়শই তুমি এদিকের জিনিস ওদিকে আর ওদিকের জিনিস এদিকে এনে দেখাতে।আমি মুগ্ধ হতাম,একেবারে স্পেলবাউন্ড  যাকে বলে। ব্লাড মুনের সাথে এককাপ রক্তের যে নিবেদনের সম্পর্ক তা তোমার মুখেই প্রথম শোনা।অবোধ শিশুর পিপাসা নিয়ে আমি শুষে নিচ্ছিলাম তোমার ডার্ক এনার্জি। তাই সবকিছু জানার পর তোমার বুকটা এফোঁড় ওফোঁড় করে দিতে আমার বিন্দুমাত্র হাত কাঁপেনি! 2. গাছের মত ' আজকাল আর কোনো কবিতা লিখি না,ইচ্ছেও করে না কোনো মিতভাষী গাছের মতন বসে থাকি সারাটা দিন' --- বুদ্ধদেব হালদার     অপভ্রংশ/2 লেখার মত কিছু পাচ্ছিনা। প্রেম -বিরহ- আদর- বৃষ্টি এসব নিয়ে লিখে ফেলেছি গত জন্মেই।এই জন্মে শুধু স্বপ্নের মধ্যে থাকি।হাজার হাজার সিম্বল আর তাদের ডেসিফারের চিন

Web ডুয়ার্স ১৩/২- সম্পাদকীয় - সেগমেন্ট ২

ছবি
সম্পাদকীয় লিখতে বসে হাত কাঁপছে রীতিমতো। কী লিখবো! কী লেখা উচিৎ ! I haven't anything to write. তবুও লিখতে হবে। ১২-১৩ দিনের মাথায় এই ১৩তম  সংখ্যার দ্বিতীয় অংশ প্রকাশ করতে গিয়ে ঘটে গেলো অনেক কিছু । ১৭জন নিয়ে এই সংখ্যা। কিন্তু আজ আর সম্পাদকীয় এসবের জন্য নয় একদম নয়। রাজনৈতিক পরিবেশ রাষ্ট্র যেন বারবার প্রতিহত হচ্ছে শাসকের হাতে অনবরত। একটার পর একটা। করোনার জুজু দেখিয়ে শ্রম আইন।তা নিয়ে যখন তোলপাড় দেশ ,চীন ভারত সম্পর্কে অবনতি।দেশবাসীর মন গলাতে চাইনিজ অ্যাপ বয়কট। কিন্তু সেই তো! অর্ধেক তো চাইনিজ যোগাযোগ দিয়েই পূর্ণ। জিডিপি তলানিতে। বারবার যতই যাই হয়ে যাক ভেতর ভেতর গভীর সুরঙ্গে ইন্দি-চিনি ভাই ভাই শ্লোগান। তারপর সেলেব্রিটি খবর অভিনেতা হত্যা না আত্মহত্যা সেখান থেকে কৃষিবিল তারপর সমগ্র দেশের মুখ ঘুরিয়ে এমন এক রাজ্য যেখানে গুন্ডারাজ চলে প্রতিনিয়ত।মনীষার প্রতি ন্যায় যাতে হয় সেই প্রার্থনা করছি। রাষ্ট্র শুনতে পেলে আদৌ কি রাষ্ট্র শুনে কিছু বলবে! জানা নেই । কতদিন আর উত্তর নেই।সমাধান কী? উত্তর নেই।অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি। কলম কাঁপছে। বলবো না বলবো না করেও বলতে হচ্ছে।প্রতিবাদে গর্জে উঠুক প্রতিটি

Web ডুয়ার্স ১৩/২ - মলয় পাহাড়ি - গুচ্ছকবিতা

ছবি
অশৌচের বেশ গুরু নিপাতের পর এসে দাঁড়িয়েছি পাশে, হবিস্যি রান্নার বিদুর অন্ন, কাঠি ভেঙে এনে উনুনের অদূরে বসেছি গলা নামিয়ে পুরোনো গল্পের মতো বয়ে যেতে দিয়েছি শোক। অপরাধী চোখ বশ মেনেছে ততদিনে। এভাবে। আমি তোমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। মুখে কাঁচা পাকা দাড়ি,খালি গা,খেটো ধুতিতে কম্বলের আসন গোঁজা। আমি তোমাকে চির অশৌচের বেশে দেখতে চেয়েছি। ফ্যান ক্লাবে লগ্নি করেছি অক্ষরের প্রাসাদ উঠে আসে হাতে।সেই প্রাসাদের তলে তরুণ তরুণীরা ভিড় করে। সভা হয়। সম্মোহন প্রয়োগ করি। নিজের নামের ফ্যান ক্লাবে লগ্নি করেছি। কাঁচের বাক্সের ভিতর মাছেদের ছোটাছুটি। রঙিন । বাড়িতে কুর্তা পাঞ্জাবি পরতে হয় এখন।  বোতামের কিস্তি ।আমি ব্যাস্ত মামনি। তোমরা বাঁচলে বাঁচো,মরলে মরো। বাবাকে সময়ে ওষুধ দিও। বাবাকে দেখো। হে, সোনার ডিম পাড়া হাঁস, শুভ জন্মদিন। সকাল থেকে জ্বর স্যান্ডো গেঞ্জির তলায় জ্বর। অপরাধ করে ফিরে গেছে কাজরী নদীর হাওয়া। ধকলের চিহ্ন ধুয়ে,পাথরের টিলার উপর সকাল হয়েছে। মেয়েরা স্মিত চুম্বন শেষে, যে যার ঘরে ফিরে গেল। সকাল থেকে জ্বর। যেভাবে অপরাধের পর প্রতিটি ধর্ষকের দেহ