Web ডুয়ার্স ১৩/২- সম্পাদকীয় - সেগমেন্ট ২
সম্পাদকীয় লিখতে বসে হাত কাঁপছে রীতিমতো। কী লিখবো! কী লেখা উচিৎ ! I haven't anything to write. তবুও লিখতে হবে। ১২-১৩ দিনের মাথায় এই ১৩তম সংখ্যার দ্বিতীয় অংশ প্রকাশ করতে গিয়ে ঘটে গেলো অনেক কিছু । ১৭জন নিয়ে এই সংখ্যা। কিন্তু আজ আর সম্পাদকীয় এসবের জন্য নয় একদম নয়। রাজনৈতিক পরিবেশ রাষ্ট্র যেন বারবার প্রতিহত হচ্ছে শাসকের হাতে অনবরত। একটার পর একটা। করোনার জুজু দেখিয়ে শ্রম আইন।তা নিয়ে যখন তোলপাড় দেশ ,চীন ভারত সম্পর্কে অবনতি।দেশবাসীর মন গলাতে চাইনিজ অ্যাপ বয়কট। কিন্তু সেই তো! অর্ধেক তো চাইনিজ যোগাযোগ দিয়েই পূর্ণ। জিডিপি তলানিতে। বারবার যতই যাই হয়ে যাক ভেতর ভেতর গভীর সুরঙ্গে ইন্দি-চিনি ভাই ভাই শ্লোগান। তারপর সেলেব্রিটি খবর অভিনেতা হত্যা না আত্মহত্যা সেখান থেকে কৃষিবিল তারপর সমগ্র দেশের মুখ ঘুরিয়ে এমন এক রাজ্য যেখানে গুন্ডারাজ চলে প্রতিনিয়ত।মনীষার প্রতি ন্যায় যাতে হয় সেই প্রার্থনা করছি। রাষ্ট্র শুনতে পেলে আদৌ কি রাষ্ট্র শুনে কিছু বলবে! জানা নেই । কতদিন আর উত্তর নেই।সমাধান কী? উত্তর নেই।অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি। কলম কাঁপছে। বলবো না বলবো না করেও বলতে হচ্ছে।প্রতিবাদে গর্জে উঠুক প্রতিটি মানুষ। তবে শুধু মনীষার জন্য নয় , সবার জন্য। নারীর সম্ভ্রমের জন্য। এই আশা রাখছি ।
তরুণদের জন্য কিছু কথা এই সংখ্যায় আমাদের একঝাঁক তরুণ কলম রয়েছে তাদের সাথে সাথেই সব তরুণদের জন্য
খুব ভালো করে বুঝেছি তরুণদের উৎসাহ দেওয়ার অনুপ্রাণিত করবার মানুষ খুব কম।জানি বুঝতে পারি।কিন্তু তাই বলে কী কে কতটা সম্মান দিলো ,যোগ্য মর্যাদা দিলো ওসব নিয়ে পড়ে থাকলে হবে না।কবিতা লেখা সাধনা, যুগ যুগ ধরে তাই কিন্তু বলে গেছে সবাই। সাধনা অধ্যাবসায় ছাড়া কিচ্ছু হবে না। চালাকি করে সাময়িক খ্যাতি পেলেও সময়ের কাছে শূন্য এর হিসেব ,সে যতই বেস্টসেলার হোক ,প্রভূত জনপ্রিয়তা থাক।
এটা তো মানতে হবেই যে একজন যদি কেউ না লেখে বাংলা সাহিত্যের তাতে কিচ্ছু যায় আসবে না যতদিন না সে নিজের কাব্যভাষা খুঁজে পাচ্ছে।
ট্রান্সফর্মেশন খুব দরকার। বিগত কদিন ধরে মাথায় আমারও ঘুরছে এসব। একটা সময় এই ওই করে শুধু বলতাম দিনশেষে দেখতাম নিজের আসল জায়গাটা ওই লেখাতেই। কে এড়িয়ে গেলো,কে সম্মান দিলো ওসব কিচ্ছু না। বাংলা সাহিত্য নিয়ে পড়লেই যদি কবি হওয়া যেত এতদিনে নিশ্চয় বাংলা কবিতায় আর লাখখানেক কবি এসে যেত।
সময়ের উপর সবটুকু।যদি শুধু লিখে যেতে চাও ভুলে যাও কবি হতে চাওয়াটা। এটাই ভালো লেখার খিদে , শক্তিটুকু শেষ করে দেয়।।কবি হবার নেশায় সহজাত লেখা , অধ্যায়ন ,নিজস্ব কাব্যভাষা এসব কিছু শেষ হয়ে যাবে ।যদি সাময়িক পরিচিতি বড়ো হয় তবে সব ঠিক আছে। যদি লেখাটাই গুরুত্বপূর্ণ হয় তবে ভুলে যেতে হবে কোথায় কে সম্মান দিচ্ছে, কে আদর করছে ,লাইভে ডাকছে এসব কিছু। পত্রিকায় কতটা লিখলে কোথায় লিখলে ভুলে যেতে হয়।সাধনা করে যেতে হবে প্রতিনিয়ত।সাধনা ছাড়া কিছু নেই কিচ্ছু নেই,প্রতিনিয়ত কবি হতে চাওয়ার লক্ষ্যটাই শেষ করে দিচ্ছে।
সময়ের উপর সবটুকু কাকে মনে রাখবে কাকে ছুঁড়ে ফেলে দেবে ,হতে পারে জীবননান্দ জীবিত অবস্থায় তাঁর যোগ্য সম্মান পাননি। কিন্তু তাঁর লেখা সময় কিন্তু সম্মান দিয়েছে , এমন উদাহরণ অনেক। আমাদের কাজ শুধু পড়ো লেখো সৎ থাকা ,আঁতেল হলে আঁতলামিই সই।
আর ডঃ রাজর্ষী বিশ্বাসের একটা কথা খুব ভালো মনে পড়ছে " প্রান্তিক বলে কিছু হয় না, যা প্রান্তিক তা হলো আমাদের মানসিকতা"
জ্ঞান সহ্য করবার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আর বিশ্বাস করুন তরুণদের অনুপ্রেরণা দিতে ১টাকাও খরচা হয় না ...
এক রাশ ভালো লাগা ও স্নেহ
উত্তরমুছুনএইভাবেই এগিয়ে চলো। অনেক ভালোবাসা।
উত্তরমুছুনসম্পাদকীয় লেখাটুকুতে তোমার যাপন যেভাবে প্রকাশ পেয়েছে তাতে একটি বিষয় নিশ্চিত করে বলা যায় যে তুমি পাহাড়ের দেশের মানুষ হয়ে খুব ভালো করে বোঝো যে কোনটা আশ্রয় আর কোনটা সম্পর্ক। ভালো থেকো। জয়তু ওয়েব ডুয়ার্স। ❤
উত্তরমুছুনঅনেক উর্ধ্বের কথা বললে। অজস্র ভালবাসা জেনো প্রিয় দাদা ❤️❤️
উত্তরমুছুনভালো লাগলো খুব । আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানালাম।
উত্তরমুছুন