Web ডুয়ার্স ১৩/২ - সম্পিতা সাহা - গুচ্ছকবিতা




কবি পরিচিত :সম্পিতা সাহা। হুগলির চন্দননগরে বাস। বর্তমানে বাংলা ও রবীন্দ্রসংগীতে স্নাতকোত্তর পাঠরতা। লেখালিখির পাশাপাশি ভালোবাসি ছবি আঁকতে, গান গাইতে, ছবি তুলতে ও ঘুরে বেড়াতে। মানুষের জীবন ও তার সমানুপাতিক যাপন আমার লেখার মূল কারণ। ২০১৯ এর জুলাইয়ে, বার্ণিক প্রকাশন থেকে প্রথম কাব্যপুস্তিকা প্রকাশিত হয়েছে, নদীর এখনো বিশ্রাম কাটেনি।


 পরিধি

১.

একদিন ভোরে উঠে মুখোমুখি তাকিয়ে দেখব মূহ্যমান চোখের পাশে উনানতমসা... গাঢ় হয়ে বসে আছে চাপ চাপ। ক্যালেন্ডারে অনিশ্চিত ফুটে আছে চিহ্নিত দাগ। উদভ্রান্ত হয়ে ছুটে যাবো জিভ দিয়ে চেটে তুলে দেবো সমস্ত জমিয়ে রাখা তারিখের লাল...

যে মানুষের কাছে গেলে বাড়ির গন্ধ পেতাম
এখন তেমন মানুষে ভয় লাগে।

বেশ বুঝতে পারছি, আগুনের ব্যবহার নতুন করে শিখতে হবে।

২.

বরং এক এক করে ভেঙে ফেলো বিরল তাগিদগুলো। দেওয়ালে ঝোলানো ছবি
কোনোরাতে জীবন্ত হয়ে এসে সামনে দাঁড়ালে, কতটুকুই বা শান্ত হয়ে থাকবে! জারিত হয়ে আসা জীবনের কাছে প্রলাপ শিখেছ যত সেই ভাষা প্রয়োগ করে দেখো... আরেক দান বেশি খেলে যাবে অনিবার্য ঈশ্বর।

যারা ছিলো তাদের রেখে দেওয়ায় অভাবনীয় কিছু নেই।

যারা আছে তাদের বেলেল্লা ভালোবেসে যাওয়ায় একটা জীবন কম পড়ে।

৩.

চাঁদেররাতে তুমিও ফুর্তিতে থাকো। অন্ধআলোয় বিঁধে যায় গ্রহদোষ... চারদিকে মানুষ মরছে সেই খবরেও হাতের গ্লাস দুলে ওঠে না। অভিশাপের জটিলতায় না গিয়েও যেভাবে নিঃশ্বাসকে আততায়ী করে তোলো, মৃত্যুশোক সেখানে পর্যটন।

বাধ্য করেছ, জলের পাশেও নিজের এই দাবিহীন থাকা।

দেরীতে জিতেছে যারা তারা ঝাঁপিয়ে পড়ে না বাতাস বা তাসে...

৪.

আরো গুটিয়ে যাচ্ছো। যাচ্ছো যাও অথচ টানাপোড়েন নেই ধরে নিয়েই অনন্ত স্তব্ধতায় শুয়েছিলাম পাশাপাশি। গলাঅব্দি ভরে ছিলো পাহাড়িফুলে। ডুয়েলের শব্দে উড়ে যায় বাদুড়।ফায়ার প্লেস নিভিয়ে দিই। আলো কমে গেলে রঙের নাম মনে রাখি না।

গার্নিশে দৃশ্যান্তর হয় দ্রুত। এড়িয়ে যাই। একটা গাছ। একটা তারা। একটা মানুষ।

সেলাইয়ে, ছোট ছোট সুতোয় গিঁট পড়ে না...


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সংখ্যা ১৮ || বর্ষ ৫

ফেরার অধ্যায়: -২য় বর্ষ সংখ্যা ১৫

বিষয় - বই আলোচনা-সংখ্যা ১৬ বর্ষ ২